Dawat-&-Tablige
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
দাওয়াত ও তাবলীগ
এর
লা-ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
এর
লা-ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
তাবলীগ- পৌঁছানো
দ্বীতিয় হজরতজী হাফেজ মাওলানা ইউসুফ ছাব রহ. বলেন রাসুলে আরাবিয়া (স) যেই সিফাতে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন এবং যেই সিফাতে দ্বীনের কাজ করেছিলেন; সেই সিফাতই তাবলীগ। -মাকতুবাতে আকাবেরে তাবলীগ পৃ.-১৫
হযরতজী রহ. আরও বলেন -হাইড্রোজেন বোমা এবং এটম বোমা থেকে ভয় পাওয়া ঠিক তেমন যেমন না-কি মাটির মুর্তিকে তার পূজারিরা ভয় পায়। যদি তোমরা দাওয়াতের কাজের হক আদায় করো তাহলে এটম বোমা আর হাইড্রোজেন বোমাওয়ালারা তাদের সব ব্যবস্থা আর মাল-দৌলতসহ তোমাদেও গোলাম বনে যাবে। -তাজকেরায়ে হজরতজী রহ. পৃ.-১৯৩
মহোতরম দোস্ত বুজুর্গ আজিজো সমস্ত প্রসংসা অল্লাহর জন্য যিনি আরশের সম্মানিত মালিক। লা-ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
এই কালিমার ভিতর সব সৃষ্টির রহস্য লুকায়িত আছে বাকি আল্লাহ যতটুকু মাখলুককে বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন ততটুকু সে আয়ত¦ করতে পারে। কালিমার প্রথম অংশ লা-ইলাহা ইল্লালাহ এর অর্থ হলো অল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আর দ্বিতীয় অংশ হলো মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এর অর্থ হলো মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ আল্লাহর রাসুল বা বার্তা বাহক।
মারেফাত
লা-ইলাহা ইল্লালাহ
লা- মানে হলো নাই, অর্থাৎ নফি করা বা অস্বিকার করা যেমন: ভাইরাস যেটা অনুবীক্ষন যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না আবার নক্ষত্র যেটা দূরদর্শন যন্ত্র দ্বারা দেখা যায় যা অনেক বড়; আবার যা আমরা দেখি না, কিন্তুু বিশ^াস করি তা হলো আরশমুআল্লা যা অনেক অনেক বড় ইহা মনুষ্য কল্পনাকেও হার মানায় এসব মাখলুক থেকে কিছুই হয় না।
সিওয়ায়ে ইলাহা ইল্লালাহ মানে হলো আল্লাহ ছাড়া।
হজরতজী ইউসুফ ছাব রহ. বলেন এটমকে ভয় পাওয়া ঠিক তেমন যেমন মুশরিক আর মুর্তি পূজকরা তাদের পাথরের মুর্তিকে ভয় করত আর তার থেকে কিছু হওয়ার আশা রাখত। এটম ও এটমওয়ালাদেও গর্দান আল্লাহর কুদরতের মুঠোয়, এটম থেকে সেটাই হবে যেটা আল্লাহ চাইবেন। ফেরাউনও এমন বলত, এইসব নদ-নদী আমার অধীনে চলে। অথচ ঐ নদী আর পানিকেই তার মৃত্যুর জন্য আল্লাহ তাআলা ব্যবহার করেছেন। -তাজকেরায়ে হজরতজী রহ. পৃ-৫০
ইহাই ঈমান- আমারা হুকুম শুনাই যে নামাজ প্রতিষ্ঠা করো, রোজা রাখ, হজ্জ পালন করো, যাকাত আদায় করো, মিথ্যা কথা বলো না, মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিও না, গিবত করো না, সুদ ও ঘুস থেকে নিজেকে বিরত রাখ, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করো না ইত্যাদি। কিন্তুু কেউ মানে তো কেউ মানে না কারন কি? কারন এটা যার হুকুম তাকে আমরা চিনি না বা জানি না জানলেও এর অজমত দিলে পয়দা হয় নাই; তো করনিয় কি? অল্লাহ তার মারেফত বা পরিচয় যতটুকু জানার তৌফিক দিয়েছে তার মধ্যে ফেরেশতারা অল্লাহর ভয়ে সবসময় ভিত থাকেন কিন্তুু তারাও অল্লাহর পুরো মারেফত সম্পর্কে অবগত নয়।
হযরত অবু যার (রা) বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এরশাদ করিয়াছেন, আমি ঐ সমস্ত বস্তুু দেখি যাহা তোমরা দেখ না, এবং আমি ঐ সমস্ত কথা শুনি যাহা তোমরা শোন না। আসমান মড় মড় করিয়া আওয়াজ করে, আর অসমানের জন্য মড় মড় করাই উচিত। উহাতে চার অঙ্গুল পরিমানও কোন জায়গা খালি নাই যেখানে কোন না কোন ফেরেশতা আপন কপাল অল্লাহতায়ালার সামনে সিজদায় ফেলিয়া রাখে নাই। আল্লাহর কসম! যদি তোমরা জানিতে যাহা আমি জানি, তবে কম হাসিতে ও বেশি কাঁদিতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের সহিত আনন্দ উপভোগ করিতে না। আর অল্লাহতায়ালার নিকট ফরিয়াদ করিতে করিতে পথে বাহির হইয়া যাইতে। হায় আমি যদি একটি গাছ হইতাম যাহা কাটিয়া ফেলা হইত।-তিরমিজি (মুন্তাখাব হাদীস পৃ-৭০)
আর এর মধ্যে রাসুলে আরাবিয়া (স) আল্লাহর মারেফত হাসিলে সবার উপরে অবস্থান যা অল্লাহর এলেম থেকে বিশেষ এলেম দান করা হয়েছে।
আল্লাহজাল্লাশানুহু আম্মানাওয়ালুহুর মাহাত্ম্য, মহত্ত, গুন, ক্ষমতা, স্থায়ীত্ব, বড়ত্ব, কুদরত, আজমত, প্রশংসা করা কোন মাখলুকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সল্প জ্ঞানের ভান্ডার থেকে যা করা যায় তা হলো তিনি আল্লাহ যিনি পরম দয়ালু, অতি মেহেরবান, প্রকৃত বাদশাহ, সর্বপ্রকার দোষ হইতে পবিত্র। সকল প্রকার বিপদ হইতে নিরাপত্তা দানকারী, নিরাপত্তা ও ঈমান দানকারী, পরিপূর্ন রক্ষণাবেক্ষণকারী, সকলের উপর ক্ষমতাবান, বিকৃতের সংস্কারক, নিরঙ্কুশ বড়ত্বের অধিকারী, সুমহান স্রষ্টা ।
আল্লাহ পূর্বেও ছিলেন এখনও আছেন এবং পরেও তিনিই থাকবেন, যার শুরু থাকে তার শেষ থাকে যেহেতু আল্লাহর শুরু নেই তাই তার শেষও নেই। আল্লাহ সবচেয়ে অড়ালে অবার আল্লাহ সবচেয়ে নিকটে। অল্লাহকে কোন আকারে কেউ কল্পনা করতে পারবে না অবার তিনি নিরাকারও নন। অল্লাহই অল্লাহ। অল্লাহ সবচেয়ে সুন্দর কত সুন্দর তা কোন মাখলুখের পক্ষে বর্ননা করা সম্ভব নয়।
Comments
Post a Comment